নবম ও দশম শ্রেণিঃ হিসাববিজ্ঞান
নবম ও দশম শ্রেণিঃ হিসাববিজ্ঞান
জাবেদা
ব√নির্বাচনী প্রশ্নের উত্তর প্রদানের জন্য সহায়ক* আর্থিক ও অনার্থিক ঘটনা চিহ্নিতকরণের পর, আর্থিক লেনদেনগুলো হিসাবের বইতে ডেবিট ও ক্রেডিট পক্ষ চিহ্নিতপূর্বক লিপিবদ্ধ করা প্রয়োজন।
* লেনদেনগুলোর মাঝে প্রকৃতিগত পার্থক্য বিদ্যমান, লেনদেনের বৈশিষ্ট্য ও প্রকৃতি বিবেচনা করেই জাবেদার শ্রেণিবিভাগ করা হয়েছে।
লেনদেনের প্রকৃতি অনুযায়ী যে শ্রেণির জাবেদা প্রযোজ্য ওই জাবেদাতেই তা লিপিবদ্ধ করতে হবে।
* লিপিবদ্ধের ক্ষেত্রে প্রমাণপত্র যাচাই করা হলে সংরক্ষিত হিসাবের গ্রহণযোগ্যতা অনেকাংশে বৃদ্ধি পায়।
* লেনদেন সংগঠিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের যতটুকু সম্ভব লেনদেনের বিশদ বিবরণ লিপিবদ্ধ করতে হয়।
* লেনদেনের বিশদ বিবরণ প্রাথমিকভাবে সর্বপ্রথম জাবেদায় লিপিবদ্ধ করা হয়।
* লেনদেনের ডেবিট ও ক্রেডিট পক্ষ বিশ্লেষণ করে তারিখের ক্রমানুসারে ব্যাখ্যা সহকারে জাবেদাতে লিখে রাখা হয়।
* হিসাবের পাকা বই অর্থাৎ খতিয়ান প্রস্তুতের ক্ষেত্রে জাবেদা সহায়ক বই হিসেবে কাজ করে। যার কারণেই জাবেদাকে হিসাবের প্রাথমিক বই বলা হয়।
* জাবেদা বই সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক নয়; কিন্তু হিসাব তৈরির সুবিধার্থে জাবেদা প্রয়োজন।
* লেনদেন জাবেদায় লিপিবদ্ধ থাকার কারণে হিসাব বাদ পড়ার ও ভুল সংগঠিত হওয়ার সম্ভাবনা বহুলাংশে হ্রাস পায়।
* প্রতিষ্ঠানের হিসাবের বই নির্ভুল ও স্বচ্ছ হওয়া অত্যাবশ্যক।
* হিসাবের ভিত্তিতেই প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ফলাফল ও সার্বিক অবস্থা নিরূপণ করা হয়।
* প্রতিষ্ঠানে অসংখ্য লেনদেন সংগঠিত হয়। এই লেনদেন সংগঠিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে খতিয়ানে লিপিবদ্ধ করা সম্ভব নাও হতে পারে। জাবেদায় লেনদেন লিপিবদ্ধ থাকলে পরবর্তীতে খতিয়ানে অন্তর্ভুক্তকরণে কোনো অসুবিধা হয় না।
* খতিয়ান হতে নির্দিষ্ট দিনে, সপ্তাহে বা মাসে কয়টি লেনদেন সংগঠিত হয়েছে তা জানা সম্ভব নয়।
* সাধারণ জাবেদার ছকে ৫টি কলাম/ঘর থাকে। যথা (১) তারিখ (২) বিবরণ/ হিসাবের নাম ও ব্যাখ্যা (৩) খ. পৃ. (৪) ডেবিট টাকা ও (৫) ক্রেডিট টাকা।
* জাবেদায় লেনদেন তারিখের ক্রমানুসারে লিখা হয় বলে নির্দিষ্ট তারিখে, সপ্তাহে বা মাসে মোট কয়টি লেনদেন ঘটেছে তা সহজেই জানা যায়।
* মোট কত টাকার লেনদেন বিভিন্ন সময়ে হয়েছে তাও জাবেদা থেকে জানা সম্ভব।
* দু’তরফা দাখিলা পদ্ধতি অনুযায়ী লেনদেন সংশ্লিষ্ট ডেবিট ও ক্রেডিট পক্ষ একত্রে জাবেদায় লিখা হয়। ফলে জাবেদা হতে দ্বৈত সত্তার প্রয়োগ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়।
* লেনদেন সম্পর্কিত কোনো সন্দেহ বা প্রশ্ন দেখা দিলে জাবেদা হতে তার ব্যাখ্যা পাওয়া সম্ভব। কারণ জাবেদা বইতে লেনদেন লিপিবদ্ধের পাশাপাশি লেনদেন সংগঠিত হওয়ার কারণ ও ব্যাখ্যা উল্লেখ করা হয়।
* লেনদেন খতিয়ানে অন্তর্ভুক্তের পূর্বে জাবেদায় লিখা হলে হিসাবে ভুল ত্রুটিও খতিয়ানে বাদ পড়ার সম্ভাবনা হ্রাস পায়
* জাবেদা খতিয়ানের সহায়ক বইস্বরূপ কাজ করে বিধায়, খতিয়ান প্রস্তুত সহজ, পরিচ্ছন্ন ও নির্ভুল হয়।
Post a Comment