জে্বােএস.সি প্রস্ততিঃ সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রামঃ সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
গদ্য থেকে সৃজনশীল প্রশ্ন
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম
উদ্দীপক : (i) প্রিয় ফুল খেলবার দিন নয় অদ্য ধ্বংসের মুখোমুখি আমরা
(ii) শতাব্দী লাঞ্ছিত আর্তের কান্না
প্রতি নিশ্বাসে আনে লজ্জা
মৃত্যুর ভয়ে ভীত বসে থাকা আর না
পরো পরো যুদ্ধের সজ্জা।
ক) আরটিসির পূর্ণ রূপ কী?
খ) কেন পূর্ব পাকিস্তানের সর্বত্র প্রতিবাদের ঝড় ওঠে?
গ) উদ্দীপক (i) এ ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ রচনার কোন দিককে ইঙ্গিত করেছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ) উদ্দীপক (ii)-এর চেতনা ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ রচনাটির মূল চেতনাকে ধারণ করে—মন্তব্যটির যথার্থতা বিচার করো।
ঘ) উদ্দীপক (ii)-এর চেতনা ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ রচনাটির মূল চেতনাকে ধারণ করে—মন্তব্যটির যথার্থতা বিচার করো।
ক নং প্রশ্নের উত্তরঃ
আরটিসির পূর্ণ রূপ হলো রাউন্ড টেবিল কনফারেন্স।
খ নং প্রশ্নের উত্তরঃ
জাতীয় অধিবেশন স্থগিতের ঘোষণায় পূর্ব পাকিস্তানের সর্বত্র প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।
শেখ মুজিবুর রহমান রচিত ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ রচনায় বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের ৩রা মার্চ ঢাকায় পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের প্রথম অধিবেশন ডেকেছিলেন; কিন্তু কোনো কারণ ছাড়াই তিনি হঠাৎ ১লা মার্চ এক ঘোষণায় সেই অধিবেশন স্থগিত করেন। সেই ষড়যন্ত্রমূলক ঘোষণা শুনেই পূর্ব পাকিস্তানের সর্বত্র প্রতিবাদ ও বিক্ষোভের ঝড় ওঠে। ‘জয় বাংলা’, ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীন কর,’ ‘তোমার-আমার ঠিকানা, পদ্মা, মেঘনা, যমুনা’, ‘জাগো জাগো বাঙালি জাগো’ ইত্যাদি স্লোগানে শহর-বন্দর-গ্রাম আন্দোলিত হয়।
গ নং প্রশ্নের উত্তরঃ
উত্তর : উদ্দীপক (i)-এ ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ রচনার তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তানের তীব্র সংগ্রামের কঠিন পরিস্থিতির দিককে ইঙ্গিত করেছে।
পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর ২৩ বছরের শাসন ছিল বাঙালি জাতির জন্য চরম বঞ্চনা আর নিপীড়নের। এ দেশের মানুষ অর্থনীতি, রাজনীতি ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে তখন মুক্তি পায়নি।
১৯৬৯ সালের আন্দোলনে আইয়ুব খানের পতনের পর ইয়াহিয়া সরকার ঘোষণা দিয়েছিল নির্বাচন ও গণতন্ত্র দেবে। সেই অনুযায়ী নির্বাচন দিলে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। গণতন্ত্রের ধারা অনুসারে পাকিস্তানের শাসনভার পাওয়ার কথা আওয়ামী লীগের অর্থাৎ বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। কিন্তু পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বাঙালিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। পাকিস্তানিরা ১৯৫২ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত বাংলার মানুষের ওপর নানাভাবে অত্যাচার করে। উদ্দীপকেও প্রায় একই বিষয়বস্তুর প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। জাতি যখন পরাধীন অবস্থায় থাকে, ধ্বংস ও বিপর্যয়ের মুখোমুখি দাঁড়ায়, তখন আর ভয়ে ঘরে বসে থাকার কোনো যুক্তি নেই। জাতির সামনে তখন অন্যায়ের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার সংগ্রাম করা ছাড়া আর উপায় থাকে না। উদ্দীপকের এই দিকটির সঙ্গে ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ রচনার বক্তব্যের মিল আছে।
পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর ২৩ বছরের শাসন ছিল বাঙালি জাতির জন্য চরম বঞ্চনা আর নিপীড়নের। এ দেশের মানুষ অর্থনীতি, রাজনীতি ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে তখন মুক্তি পায়নি।
১৯৬৯ সালের আন্দোলনে আইয়ুব খানের পতনের পর ইয়াহিয়া সরকার ঘোষণা দিয়েছিল নির্বাচন ও গণতন্ত্র দেবে। সেই অনুযায়ী নির্বাচন দিলে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। গণতন্ত্রের ধারা অনুসারে পাকিস্তানের শাসনভার পাওয়ার কথা আওয়ামী লীগের অর্থাৎ বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। কিন্তু পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বাঙালিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। পাকিস্তানিরা ১৯৫২ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত বাংলার মানুষের ওপর নানাভাবে অত্যাচার করে। উদ্দীপকেও প্রায় একই বিষয়বস্তুর প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। জাতি যখন পরাধীন অবস্থায় থাকে, ধ্বংস ও বিপর্যয়ের মুখোমুখি দাঁড়ায়, তখন আর ভয়ে ঘরে বসে থাকার কোনো যুক্তি নেই। জাতির সামনে তখন অন্যায়ের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার সংগ্রাম করা ছাড়া আর উপায় থাকে না। উদ্দীপকের এই দিকটির সঙ্গে ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ রচনার বক্তব্যের মিল আছে।
ঘ নং প্রশ্নের উত্তরঃ
উত্তর : উদ্দীপকের প্রতিবাদের ভাষা আর ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ রচনায় ২৩ বছরের বঞ্চনার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার অভিব্যক্তি একই বলে এটি রচনাটির মূল চেতনাকে ধারণ করেছে।
পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রকাঠামো ভেঙে বাঙালির সার্বিক মুক্তি অর্জনের লক্ষ্যে ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছয় দফা কর্মসূচি ঘোষণা করে কারাবরণ করেন। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ অর্জন করে নিরঙ্কুশ বিজয়। তবু পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বাঙালিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে যড়যন্ত্রের পথ বেছে নেয়। ১৯৭১ সালের ২ মার্চ থেকে বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে বাংলায় সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ৭ই মার্চ ১৯৭১ সালে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে প্রায় দশ লাখ লোকের উপস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু ১৮ মিনিটের ভাষণ দেন। ওই ভাষণে তিনি বাঙালির মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত স্বাধীনতা সংগ্রামের আহ্বান জানান। প্রত্যেক গ্রামে, মহল্লায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তুলে যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকতে বলেন। এ দেশের মানুষের মুক্তির জন্য শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে তিনি সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
উদ্দীপক (ii) এ-ও বলা হয়েছে, শত বছরের নিপীড়িত মানুষের কান্নার ধ্বনিতে যে বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে, তা নিয়ে আর বসে না থেকে এবার যুদ্ধের সাজ পরতে হবে।
উদ্দীপক (ii)-এর এই চেতনা, ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ রচনাটির মূল চেতনাকে যে ধারণ করে, রচনাটির উপর্যুক্ত বক্তব্যই তা প্রমাণ করে।
পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রকাঠামো ভেঙে বাঙালির সার্বিক মুক্তি অর্জনের লক্ষ্যে ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছয় দফা কর্মসূচি ঘোষণা করে কারাবরণ করেন। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ অর্জন করে নিরঙ্কুশ বিজয়। তবু পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বাঙালিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে যড়যন্ত্রের পথ বেছে নেয়। ১৯৭১ সালের ২ মার্চ থেকে বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে বাংলায় সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ৭ই মার্চ ১৯৭১ সালে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে প্রায় দশ লাখ লোকের উপস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু ১৮ মিনিটের ভাষণ দেন। ওই ভাষণে তিনি বাঙালির মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত স্বাধীনতা সংগ্রামের আহ্বান জানান। প্রত্যেক গ্রামে, মহল্লায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তুলে যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকতে বলেন। এ দেশের মানুষের মুক্তির জন্য শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে তিনি সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
উদ্দীপক (ii) এ-ও বলা হয়েছে, শত বছরের নিপীড়িত মানুষের কান্নার ধ্বনিতে যে বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে, তা নিয়ে আর বসে না থেকে এবার যুদ্ধের সাজ পরতে হবে।
উদ্দীপক (ii)-এর এই চেতনা, ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ রচনাটির মূল চেতনাকে যে ধারণ করে, রচনাটির উপর্যুক্ত বক্তব্যই তা প্রমাণ করে।
Spelling mistake
ReplyDelete