Header Ads

জানা-অজানাঃ জর্জ সাইমন ওহম


জানা-অজানাঃ জর্জ সাইমন ওহম

ওহম সূত্রের আবিষ্কারক জর্জ সাইমন ওহম (১৭৮৯-১৮৫৪)। তিনি ছিলেন পদার্থবিজ্ঞানী ও গণিতবিদ।রোধের আন্তর্জাতিক একক ‘ওহম’ (ড) তাঁর নাম থেকেই এসেছে।



তাঁর জন্ম জার্মানিতে। বাবা জোহান ওলফগাং ওহম ছিলেন একজন তালামিস্ত্রি। সাত ভাই-বোনের মধ্যে চার জনই ছোট বেলায় মারা যায়। ছোট ভাই মার্টিন ওহম ছিলেন বিখ্যাত গণিতবিদ।

প্রথমে বাবার কাছেই বিভিন্ন ব্যাপারে তালিম নেন ওহম। যদিও তাঁর বাবা তেমন শিক্ষিত ছিলেন না। পরে পড়াশোনার জন্য তাকে সুইজারল্যান্ড পাঠিয়ে দেন বাবা।

১৮০৬ সালে তিনি গোটস্টাড বেই নিডাউ স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন।১৮০৯ সালে কার্ল ক্রিস্টিয়ান ভন লাংসডর্ফের সঙ্গে হেইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় যান জর্জ। সেখানে গণিত নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। লাংসডর্ফের কথা মতো তিনি লেওনার্ড অয়লার, পিয়ের সিমোঁ লাপ্লাস ও সিলভেস্ত্রে ফ্রঁসোয়া ল্যাক্রোইক্সের গবেষণাপত্রগুলো ভালো মতো পড়াশোনা করেন।

  • ও'মের সূত্র ঃ
  • কোন তড়িৎ পরিবাহকের দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্যের মান ১ ভোল্ট হলে তার মধ্য দিয়ে যদি ১ অ্যাম্পিয়ার তড়িৎ প্রবাহ চলে তবে সেই পরিবাহকের রোধকে ১ ওহম (Ω) বলে

গাণিতিক ভাবে -

 
এখানে,
Ω = ওহম
V = ভোল্ট
A = অ্যাম্পিয়ার
m = মিটার
kg = কিলোগ্রাম
s = সেকেন্ড
C = কুলম্ব
J = জুল
S = সিমেন্স

বাস্তবক্ষেত্রে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক্সের জগতে শুধু ওহমই নয়, ওহমের বেশকিছু গুনিতকও ব্যবহৃত হয়। যেমন মিলিওহম, কিলোওহম, মেগাওহম, গিগাওহম ইত্যাদি।

চল তড়িতের ক্ষেত্রে ইম্পিডেন্স এবং রিয়্যাক্ট্যান্সও ওহম এককে পরিমাপ করা হয়।
রূপান্তর।

তড়িৎ পরিবাহিতার এবং এডমিট্যান্সের এস আই একক হচ্ছে সিমেন্স (চিহ্ন: S)। এই সিমেন্সকে মো বলেও ডাকা হয়। মো হচ্ছে আসলে ইংরেজীতে ওহমকে বিপরীতক্রমে লিখে পাওয়া শব্দ (ohm -> mho)। এর এককও ওহমের এককের বিপরীত - ℧

No comments

Powered by Blogger.