বাংলা দ্বিতীয়পত্র
একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিঃ বাংলা দ্বিতীয়পত্র
উচ্চারণরীতি
উজ্জ্বল কুমার সাহা
প্রভাষক
সেন্ট যোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মোহাম্মদপুর, ঢাকা
প্রশ্ন ১: এ-ধ্বনি উচ্চারণের যে কোনো পাঁচটি নিয়ম উদাহরণসহ লিখ।
উত্তর:
১. শব্দের প্রথমে যদি ‘এ’-কার থাকে এবং তারপরে ই, ঈ, উ, ঊ, এ, ও, য়, i, ল, শ এবং হ থাকলে সাধারণত ‘এ’ অবিকৃতভাবে উচ্চারিত হয়। যথা: একি (একি), দেখি (দেখি), মেকি (মেকি), ঢেঁকি (ঢেঁকি), বেশি (বেশি) ইত্যাদি।
২. শব্দের আদ্য ‘এ’-কারের পরে যদি ং (অনুস্বার) ‘ঙ’ কিংবা ‘ঙ্গ’ থাকে এবং তার পরে ‘ই’ (হ্রস্ব বা দীর্ঘ) ‘উ’ (হ্রস্ব বা দীর্ঘ) অনুপস্থিত থাকে তবে সে ক্ষেত্রে ‘এ’, ‘অ্যা’-কারে রূপান্তরিত হয়। যথা: বেঙ [ব্যাঙ, কিন্তু ‘ই’ ()ি-কার সংযুক্ত হলে বেঙি], খেংরা (খ্যাংরো কিন্তু খেঙ্রি), বেঙ্গমা (ব্যাঙ্গোমা কিন্তু বেঙ্গোমি), লেংড়া (ল্যাঙ্ড়া কিন্তু লেঙ্ড়ি), নেংটা (ন্যাঙ্টা কিন্তু নেঙ্টি) ইত্যাদি।
৩. ‘এ’-কারযুক্ত একাক্ষর ধাতুর সঙ্গে ‘আ’-প্রত্যয়যুক্ত হলে, সাধারণত সেই ‘এ’ কারের উচ্চারণ ‘অ্যা’ কার হয়ে থাকে। যথা: ক্ষেপা (ক্ষেপ্ + আ = খ্যাপা), ঠেলা (ঠেল্ + আ = ঠ্যালা) ইত্যাদি।
৪. মূলে ‘ই’ কার বা ‘ঋ’-কারযুক্ত ধাতু প্রতিপদিকের সঙ্গে ‘অ’-কার যুক্ত হলে সেই ‘ই’-কার ‘এ’-কার রূপে উচ্চারিত হবে, কখনও ‘অ্যা’-কার হবে না। যথা: কেনা (কিন্ ধাতু থেকে) মেলা (< মিল্), লেখা (< লিখ্), গেলা (< গিল্), মেশা (< মিশ্) ইত্যাদি।
৫. একাক্ষর (monosyllable) সর্বনাম পদের এ সাধারণত স্বাভাবিকভাবে অর্থাৎ অবিকৃত ‘এ’-কার রূপে উচ্চারিত হয়। যথা: কে, সে, এ, যে ইত্যাদি।
২. শব্দের আদ্য ‘এ’-কারের পরে যদি ং (অনুস্বার) ‘ঙ’ কিংবা ‘ঙ্গ’ থাকে এবং তার পরে ‘ই’ (হ্রস্ব বা দীর্ঘ) ‘উ’ (হ্রস্ব বা দীর্ঘ) অনুপস্থিত থাকে তবে সে ক্ষেত্রে ‘এ’, ‘অ্যা’-কারে রূপান্তরিত হয়। যথা: বেঙ [ব্যাঙ, কিন্তু ‘ই’ ()ি-কার সংযুক্ত হলে বেঙি], খেংরা (খ্যাংরো কিন্তু খেঙ্রি), বেঙ্গমা (ব্যাঙ্গোমা কিন্তু বেঙ্গোমি), লেংড়া (ল্যাঙ্ড়া কিন্তু লেঙ্ড়ি), নেংটা (ন্যাঙ্টা কিন্তু নেঙ্টি) ইত্যাদি।
৩. ‘এ’-কারযুক্ত একাক্ষর ধাতুর সঙ্গে ‘আ’-প্রত্যয়যুক্ত হলে, সাধারণত সেই ‘এ’ কারের উচ্চারণ ‘অ্যা’ কার হয়ে থাকে। যথা: ক্ষেপা (ক্ষেপ্ + আ = খ্যাপা), ঠেলা (ঠেল্ + আ = ঠ্যালা) ইত্যাদি।
৪. মূলে ‘ই’ কার বা ‘ঋ’-কারযুক্ত ধাতু প্রতিপদিকের সঙ্গে ‘অ’-কার যুক্ত হলে সেই ‘ই’-কার ‘এ’-কার রূপে উচ্চারিত হবে, কখনও ‘অ্যা’-কার হবে না। যথা: কেনা (কিন্ ধাতু থেকে) মেলা (< মিল্), লেখা (< লিখ্), গেলা (< গিল্), মেশা (< মিশ্) ইত্যাদি।
৫. একাক্ষর (monosyllable) সর্বনাম পদের এ সাধারণত স্বাভাবিকভাবে অর্থাৎ অবিকৃত ‘এ’-কার রূপে উচ্চারিত হয়। যথা: কে, সে, এ, যে ইত্যাদি।
প্রশ্ন : উচ্চারণরীতি কাকে বলে? বাংলা উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম লিখ।
উত্তর : উচ্চারণরীতি : শব্দের যথাযথ উচ্চারণের নিয়ম বা সূত্রের সমষ্টিকে উচ্চারণরীতি বলে। ভাষাতত্ত্ববিদ ও ব্যাকরণবিদ্গণ বাংলা ভাষার প্রতিটি শব্দের যথাযথ সঠিক উচ্চারণের জন্য কতকগুলো নিয়ম বা সূত্র প্রণয়ন করেছেন। এই নিয়ম বা সূত্রের সমষ্টিকে বলা হয় বাংলা ভাষার উচ্চারণনীতি।
বাংলা উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম
১. শব্দের আদ্য ‘অ’ এর পরে ‘য ফলা’ যুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণ থাকলে সে ক্ষেত্রে ‘অ’-এর উচ্চারণ ‘ও’-কারের মতো হয়। যেমন- অন্য (ওদ্দো), কন্যা (কোন্না) ইত্যাদি।
২. শব্দের গোড়ায় ‘ব-ফলা’র কোনো উচ্চারণ নেই- শ্বাস, শ্বাপদ, দ্বাপর, দ্বিজ, দ্বার। শব্দের মধ্যে ‘ব-ফলা’ ব্যঞ্জনের দিত্ব ঘটায়- বিদ্বান (বিদ্দান্), স্বত্ব (শৎতো)।
৩. যুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণের সংযুক্ত ‘ম-ফলা’র উচ্চারণ হয় না। যেমন- সূক্ষ্ম (শুক্খো), যক্ষ্মা (জক্খাঁ) ইত্যাদি।
৪. পদের মধ্যে কিংবা অন্তে যুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণের সঙ্গে ‘য-ফলা’ যুক্ত হলে সাধারণত তার উচ্চারণ হয় না। যেমন- সন্ধ্যা (শোন্ধা), স্বাস্থ্য (শাস্থো) ইত্যাদি।
৫. শব্দের মাঝে বা শেষে ‘ক্ষ’-এর উচ্চারণ ক্খ হয়ে থাকে। যেমন- দক্ষতা (দোক্খোতা), পক্ষ (পোক্খো) ইত্যাদি।
উত্তর : উচ্চারণরীতি : শব্দের যথাযথ উচ্চারণের নিয়ম বা সূত্রের সমষ্টিকে উচ্চারণরীতি বলে। ভাষাতত্ত্ববিদ ও ব্যাকরণবিদ্গণ বাংলা ভাষার প্রতিটি শব্দের যথাযথ সঠিক উচ্চারণের জন্য কতকগুলো নিয়ম বা সূত্র প্রণয়ন করেছেন। এই নিয়ম বা সূত্রের সমষ্টিকে বলা হয় বাংলা ভাষার উচ্চারণনীতি।
বাংলা উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম
১. শব্দের আদ্য ‘অ’ এর পরে ‘য ফলা’ যুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণ থাকলে সে ক্ষেত্রে ‘অ’-এর উচ্চারণ ‘ও’-কারের মতো হয়। যেমন- অন্য (ওদ্দো), কন্যা (কোন্না) ইত্যাদি।
২. শব্দের গোড়ায় ‘ব-ফলা’র কোনো উচ্চারণ নেই- শ্বাস, শ্বাপদ, দ্বাপর, দ্বিজ, দ্বার। শব্দের মধ্যে ‘ব-ফলা’ ব্যঞ্জনের দিত্ব ঘটায়- বিদ্বান (বিদ্দান্), স্বত্ব (শৎতো)।
৩. যুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণের সংযুক্ত ‘ম-ফলা’র উচ্চারণ হয় না। যেমন- সূক্ষ্ম (শুক্খো), যক্ষ্মা (জক্খাঁ) ইত্যাদি।
৪. পদের মধ্যে কিংবা অন্তে যুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণের সঙ্গে ‘য-ফলা’ যুক্ত হলে সাধারণত তার উচ্চারণ হয় না। যেমন- সন্ধ্যা (শোন্ধা), স্বাস্থ্য (শাস্থো) ইত্যাদি।
৫. শব্দের মাঝে বা শেষে ‘ক্ষ’-এর উচ্চারণ ক্খ হয়ে থাকে। যেমন- দক্ষতা (দোক্খোতা), পক্ষ (পোক্খো) ইত্যাদি।
Post a Comment